আবু মুত্তালিব মতি, আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ বগুড়ার আদমদীঘির মাঠে মাঠে আতপ ধান ক্ষেতে দেখা দিয়েছে শীষ মরা রোগ। আক্রান্ত ধান ক্ষেতে রোগ প্রতিরোধক ওষুধ ছিটিয়েও কোন কাজ হচ্ছে না। ফলে এবার আতপ ধানের ফলন নিয়ে শঙ্কায় পরেছেন কৃষককুল।
আদমদীঘি উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানায়, চলতি রোপা আমন মৌসুমে উপজেলায় ১১ হাজার ১১৫ হেক্টর জমিতে ধান রোপনের লক্ষ মাত্রা নির্ধারণ করা হয়। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় এবার জমিতে ধানগাছ ও শীষ ভাল হয়েছে। ইতি মধ্যে আগাম জাতের প্রায় সাড়ে ৯ হাজার হেক্টর জমির ধান কাটা মারাই করে ঘরে তুলেছেন কৃষকরা। এই ১১ হাজার ১১৫ হেক্টর জমিতে রোপনকৃত ধানের মধ্যে প্রায় দেড় হাজার হেক্টর জমিতে চিনি আতপ ধান রোপন করা হয়েছে।
সালগ্রামের কৃষক গোলাম মোস্তফা, রইছ উদ্দীন, পুশিন্দা গ্রামের গৌরাঙ্গ বর্ম্মন, তেঁতুলিয়া গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম জানান, আর মাত্র কয়েক দিন পরেই আতপ ধান কাটা শুরু হবে। এরই মধ্যে হঠাৎ করেই উপজেলার তেঁতুলিয়া, সালগ্রাম, পুশিন্দা, সিংগাহার, কড়ই, বন্তইর, ঝাখইর, বেজারসহ প্রায় সকল মাঠে আতপ ধানে ব্যাপক হারে শীষ মরা রোগ দেখা দিয়েছে।
কৃষকদের দাবি ধানের শীষ মরা রোগ প্রতিরোধ করতে বিভিন্ন কোম্পানীর কীটনাশক ওষুধ ছিটিয়েও কোন ফল হচ্ছে না। এতে করে ধান রক্ষায় এবং লোকসানের আশংকায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে কৃষককুল। তারা আরও জানায়, ধান লাগানোর পর থেকে মাঠের ধান ভাল থাকলেও ধানের শীষ বের হবার পর থেকে শীষ মরে যাচ্ছে। প্রথমে জমিতে ২/১টি মরা শীষ দেখা দিলেও বর্তমানে তা ব্যপক আকার ধারণ করেছে। এতে করে আতপ ধানের ফলন বির্পযয় হতে পারে বলে আশংকা করছেন তারা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মিঠু চন্দ্র অধিকারী সাংবাদিকদের জানান, আদমদীঘি উপজেলায় চলতি মৌসুমে কৃষকদের বিভিন্ন ভাবে ধান চাষে পরামর্শ দেয়া হয়েছে। কৃষকরা পুরোপুরি আমাদের কথা না মানায় কিছু এলাকায ব্লাষ্ট রোগ দেখা দিয়েছে। ফলে ধানের শীষ মরে যাচ্ছে যার পরিমান খুবই অল্প। পরবর্তীতে এমন সমস্যা বিস্তার করার আগে কৃষকদের পাশাপাশি কৃষি বিভাগ দেখভাল করবে।